বাগধারা | সব বাগধারার তালিকা | Benglai Idiom List


▣ বাগধারাঃ যে শব্দ বা শব্দগুচ্ছ দিয়ে বিশেষ অর্থ প্রকাশ পায় তাকে বাগধারা বলে।
বাগধারায় এমন একটি শক্তি আছে যা সাধারণ অর্থে বোঝা যাবে না। যেমন: ‘গোবরগণেশ, বিড়ালতপস্বী, গোবরে পদ্মফুল, ঘোড়ার ডিম, কই মাছের প্রাণ।
বাগধারা তিন প্রকারে ভাব প্রকাশ করে থাকে। যেমন:
১. বাচ্যার্থ: শব্দের মুখ্য অর্থকে বাচ্যার্থ বলে। যেমন: ঈশ্বর, নদী, চন্দ্র, সূর্য ইত্যাদি।
২. লক্ষ্যার্থ: যখন কোন শব্দ মুখ্য অর্থ ছাড়া অন্য অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে লক্ষ্যার্থ বলে। যেমন: ‘গোপালের লেখাপড়ার গা নাই’। = গাত্র>গা ‘গা’ শব্দের মুখ্য হলো দেহ’ কিন্তু এখানে বাচ্যার্থে বা মুখ্যার্থে ব্যবহৃত না হয়ে লক্ষ্যার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এই বাক্যে ‘গা’ শব্দের লক্ষ্যার্থ হলো ‘ইচ্ছা’।
৩. ব্যাঙ্গ্যার্থ: যখন কোনো শব্দ বা শব্দসমষ্টি বাচ্যার্থ বা লক্ষ্যার্থ প্রকাশ না করে অন্য একটি নতুন গভীর ব্যঞ্জনাপূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে ব্যাঙ্গ্যার্থ বলে। যেমন: ‘রমেশ বাবুর ছেলে একটা অকালকুষ্মাণ্ড।’ ‘অকাল-কুষ্মাণ্ডের’ ব্যাঙ্গ্যার্থ হলো ‘অপদার্থ’।
সুতরাং লক্ষ্যার্থ ও ব্যাঙ্গার্থযুক্ত শব্দ বা শব্দসমষ্টি অথবা বাক্যাংশকে বাগধারা বলে।

অর্থসহ বাগধারা এর তালিকা

অ আ ক খ =সাধারণ জ্ঞান
অকাল কুষ্মাণ্ড = অপদার্থ, অকেজো
অক্কা পাওয়া = মারা যাওয়া
অগস্ত্য যাত্রা = চির দিনের জন্য প্রস্থান
অগাধ জলের মাছ = সুচতুর ব্যক্তি
অর্ধচন্দ্র = গলা ধাক্কা
অন্ধের যষ্ঠি = একমাত্র অবলম্বন
অন্ধের নড়ি = একমাত্র অবলম্বন
অগ্নিশর্মা = নিরতিশয় ক্রুদ্ধ
অগ্নিপরীক্ষা =কঠিন পরীক্ষা
অগ্নিশর্মা = ক্ষিপ্ত
অগাধ জলের মাছ = খুব চালাক
অতি চালাকের গলায় দড়ি = বেশি চাতুর্যর পরিণাম
অতি লোভে তাঁতি নষ্ট = লোভে ক্ষতি
অদৃষ্টের পরিহাস = বিধির বিড়ম্বনা অদৃষ্টের পরিহাস = ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা
অর্ধচন্দ্র দেওয়া = গলা ধাক্কা দিয়ে দেয়া
অষ্টরম্ভা = ফাঁকি
অথৈ জলে পড়া = খুব বিপদে পড়া
অন্ধকারে ঢিল মারা = আন্দাজে কাজ করা
অমৃতে অরুচি = দামি জিনিসের প্রতি বিতৃষ্ণা
অকূল পাথার = ভীষণ বিপদ
অনুরোধে ঢেঁকি গেলা = অনুরোধে দুরূহ কাজ সম্পন্ন করতে সম্মতি দেয়া
অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী = সামান্য বিদ্যার অহংকার
অনধিকার চর্চা = সীমার বাইরে পদক্ষেপ
অরণ্যে রোদন = নিষ্ফল আবেদন
অহিনকুল সম্বন্ধ = ভীষণ শত্রুতা
অন্ধকার দেখা = দিশেহারা হয়ে পড়া
অমাবস্যার চাঁদ = দুর্লভ বস্তু
আকাশ কুসুম = অসম্ভব কল্পনা
আকাশ পাতাল =প্রভেদ প্রচুর ব্যবধান
আকাশ থেকে পড়া = অপ্রত্যাশিত
আকাশের চাঁদ = আকাঙ্ক্ষিত বস্তু
আগুন নিয়ে খেলা = ভয়ংকর বিপদ
আগুনে ঘি ঢালা = রাগ বাড়ানো
আঙুল ফুলে কলাগাছ = অপ্রত্যাশিত ধনলাভ
আঠার আনা = সমূহ সম্ভাবনা
আদায় কাঁচকলায় = তিক্ত সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায় = শত্রুতা
আহ্লাদে আটখানা = খুব খুশি
আক্কেল সেলামি = নির্বুদ্ধিতার দণ্ড
আঙুল ফুলে কলাগাছ = হঠাৎ বড়লোক
আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া = দুর্লভ বস্তু প্রাপ্তি
আদা জল খেয়ে লাগা = প্রাণপণ চেষ্টা করা
আক্কেল গুড়ুম = হতবুদ্ধি, স্তম্ভিত
আমড়া কাঠের ঢেঁকি = অপদার্থ
আকাশ ভেঙে পড়া = ভীষণ বিপদে পড়া
আমতা আমতা করা = ইতস্তত করা, দ্বিধা করা
আটকপালে = হতভাগ্য
আঠার মাসের বছর = দীর্ঘসূত্রিতা
আলালের ঘরের দুলাল = অতি আদরে নষ্ট পুত্র
আকাশে তোলা = অতিরিক্ত প্রশংসা করা
আষাঢ়ে গল্প = আজগুবি কেচ্ছা
ইঁদুর কপালে = নিতান্ত মন্দভাগ্য
ইঁচড়ে পাকা = অকালপক্ব
ইলশে গুঁড়ি = গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি
ইতর বিশেষ = পার্থক্য
উত্তম মধ্যম = প্রহার
উড়নচন্ডী = অমিতব্যয়ী
উভয় সংকট = দুই দিকেই বিপদ
উলু বনে মুক্ত ছড়ানো = অপাত্রে/অস্থানে মূল্যবান দ্রব্য প্রদান
উড়ো চিঠি = বেনামি পত্র
উড়ে এসে জুড়ে বসা = অনধিকারীর অধিকার
উজানে কৈ = সহজলভ্য
উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে = একের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানো
ঊনপাঁজুড়ে = অপদার্থ
ঊনপঞ্চাশ বায়ু = পাগলামি
এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো = একই স্বভাবের
এক চোখা = পক্ষপাতিত্ব, পক্ষপাতদুষ্ট
এক মাঘে শীত যায় না = বিপদ এক বারই আসে না, বার বার আসে
এলোপাতাড়ি = বিশৃঙ্খলা
এসপার ওসপার = মীমাংসা
একাদশে বৃহস্পতি = সৌভাগ্যের বিষয়
এক বনে দুই বাঘ = প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী
এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো = একই দলভুক্ত
এলাহি কাণ্ড = বিরাট আয়োজন
ওজন বুঝে চলা = অবস্থা বুঝে চলা
ওষুধে ধরা = প্রার্থিত ফল পাওয়া
কচুকাটা করা = নির্মমভাবে ধ্বংস করা
কচু পোড়া = অখাদ্য
কচ্ছপের কামড় = যা সহজে ছাড়ে না
কলম পেষা = কেরানিগিরি
কলুর বলদ = এক টানা খাটুনি
কথার কথা = গুরুত্বহীন কথা
কাঁঠালের আমসত্ত্ব = অসম্ভব বস্তু
কাকতাল = আকস্মিক/দৈব যোগাযোগজাত ঘটনা
কপাল ফেরা = সৌভাগ্য লাভ
কত ধানে কত চাল = হিসেব করে চলা
কড়ায় গণ্ডায় = পুরোপুরি
কান খাড়া করা =মনোযোগী হওয়া
কানকাটা = নির্লজ্জ
কান ভাঙানো = কুপরামর্শ দান
কান ভারি করা = কুপরামর্শ দান
কাপুড়ে বাবু = বাহ্যিক সাজ
কেউ কেটা = গণ্যমান্য
কেঁচে গণ্ডুষ = পুনরায় আরম্ভ
কেঁচো খুড়তে সাপ = বিপদজনক পরিস্থিতি
কই মাছের প্রাণ = যা সহজে মরে না
কুঁড়ের বাদশা = খুব অলস
কাক ভূষণ্ডী = দীর্ঘজীবী
কেতা দুরস্ত = পরিপাটি
কাছা আলগা = অসাবধান
কাঁচা পয়সা = নগদ উপার্জন
কাঁঠালের আমসত্ত্ব = অসম্ভব বস্তু
কূপমণ্ডুক = সীমাবদ্ধ জ্ঞান সম্পন্ন, ঘরকুনো
কেতা দুরস্ত = পরিপাটি
কাঠের পুতুল = নির্জীব, অসার
কথায় চিঁড়ে ভেজা = ফাঁকা বুলিতে কার্যসাধন
কান পাতলা = সহজেই বিশ্বাসপ্রবণ
কাছা ঢিলা = অসাবধান
কুল কাঠের আগুন = তীব্র জ্বালা
কেঁচো খুড়তে সাপ = সামান্য থেকে অসামান্য পরিস্থিতি
কেউ কেটা = সামান্য
কেঁচে গণ্ডুষ = পুনরায় আরম্ভ
কৈ মাছের প্রাণ = যা সহজে মরে না
খয়ের খাঁ = চাটুকার
খণ্ড প্রলয় = ভীষণ ব্যাপার
খাল কেটে কুমির আনা = বিপদ ডেকে আনা
গড্ডলিকা প্রবাহ = অন্ধ অনুকরণ
গদাই লস্করি চাল = অতি ধীর গতি, আলসেমি
গণেশ উল্টানো = উঠে যাওয়া, ফেল মারা
গলগ্রহ = পরের বোঝা স্বরূপ থাকা
গরজ বড় বালাই = প্রয়োজনে গুরুত্ব
গরমা গরম = টাটকা
গরিবের ঘোড়া রোগ = অবস্থার অতিরিক্ত অন্যায় ইচ্ছা
গুর খোঁজা = তন্ন তন্ন করে খোঁজা
গুরু মেরে জুতা দান = বড় ক্ষতি করে সামান্য ক্ষতিপূরণ
গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল = প্রাপ্তির আগেই আয়োজন
গা ঢাকা দেওয়া = আত্মগোপন
গায়ে কাঁটা দেওয়া = রোমাঞ্চিত হওয়া
গাছে তুলে মই কাড়া = সাহায্যের আশা দিয়ে সাহায্য না করা
গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো = কোনো দায়িত্ব গ্রহণ না করা
গুরু মারা বিদ্যা = যার কাছে শিক্ষা তারই উপর প্রয়োগ
গোকুলের ষাঁড় = স্বেচ্ছাচারী লোক
গোঁয়ার গোবিন্দ = নির্বোধ অথচ হঠকারী
গোল্লায় যাওয়া = নষ্ট হওয়া, অধঃপাতে যাওয়া
গোবর গণেশ = মূর্খ
গোলক ধাঁধা = দিশেহারা
গোঁফ খেজুরে = নিতান্ত অলস
গোড়ায় গলদ = শুরুতে ভুল
গৌরচন্দ্রিকা = ভূমিকা
গৌরীসেনের টাকা = বেহিসাবী অর্থ
গুড়ে বালি = আশায় নৈরাশ্য
ঘর ভাঙানো = সংসার বিনষ্ট করা
ঘাটের মরা = অতি বৃদ্ধ
ঘোড়া রোগ = সাধ্যের অতিরিক্ত সাধ
ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া = মধ্যবর্তীকে অতিক্রম করে কাজ করা
ঘোড়ার ঘাস কাটা = অকাজে সময় নষ্ট করা
ঘোড়ার ডিম = অবাস্তব
ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো = নিজ খরচে পরের বেগার খাটা
ঘাটের মড়া = অতি বৃদ্ধ
ঘটিরাম = আনাড়ি হাকিম
চক্ষুদান করা = চুরি করা
চক্ষুলজ্জা = সংকোচ
চর্বিত চর্বণ = পুনরাবৃত্তি
চাঁদের হাট = আনন্দের প্রাচুর্য
চিনির বলদ = ভারবাহী কিন্তু ফল লাভের অংশীদার নয়
চোখের বালি = চক্ষুশূল
চোখের পর্দা = লজ্জা
চোখ কপালে তোলা = বিস্মিত হওয়া
চোখ টাটানো = ঈর্ষা করা
চোখে ধুলো দেওয়া = প্রতারণা করা
চোখের চামড়া = লজ্জা
চুনকালি দেওয়া = কলঙ্ক
চশমখোর = চক্ষুলজ্জাহীন
চোখের মণি = প্রিয়
চামচিকের লাথি = নগণ্য ব্যক্তির কটূক্তি
চিনির পুতুল = শ্রমকাতর
চুঁনোপুটি = নগণ্য
চুলোয় যাওয়া = ধ্বংস
চিনে/ছিনে জোঁক = নাছোড়বান্দা
ছ কড়া ন কড়া = সস্তা দর
ছা পোষা = অত্যন্ত গরিব
ছাই ফেলতে ভাঙা কুলা = সামান্য কাজের জন্য অপদার্থ ব্যক্তি
ছেলের হাতের মোয়া = সামান্য বস্তু
ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করা = নগণ্য স্বার্থে দুর্নাম অর্জন
ছক্কা পাঞ্জা = বড় বড় কথা বলা
ছিঁচ কাদুনে = অল্পই কাঁদে এমন
ছিনিমিনি খেলা = নষ্ট করা
ছেলের হাতের মোয়া = সহজলভ্য বস্তু
জগাখিচুড়ি পাকানো = গোলমাল বাধানো
জিলাপির প্যাঁচ = কুটিলতা
জলে কুমির ডাঙায় বাঘ = উভয় সঙ্কট
ঝড়ো কাক = বিপর্যস্ত
ঝাঁকের কৈ = এক দলভুক্ত
ঝিকে মেরে বউকে বোঝানো = একজনের মাধ্যমে দিয়ে অন্যজনকে শিক্ষাদান
ঝোপ বুঝে কোপ মারা = সুযোগ মত কাজ করা
টনক নড়া = চৈতন্যোদয় হওয়া
টাকার কুমির = ধনী ব্যক্তি
টেকে গোঁজা = আত্মসাৎ করা
টুপভুজঙ্গ = নেশায় বিভোর
ঠাঁট বজায় রাখা = অভাব চাপা রাখা
ঠোঁট কাটা = বেহায়া
ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় = আদর্শহীনতার প্রাচুর্য
ঠুঁটো জগন্নাথ = অকর্মণ্য
ঠেলার নাম বাবাজি = চাপে পড়ে কাবু
ডুমুরের ফুল = দুর্লভ বস্তু
ডাকের সুন্দরী = খুবই সুন্দরী
ডুমুরের ফুল = দুর্লভ বস্তু
ডান হাতের ব্যাপার = খাওয়া
ডামাডোল = গণ্ডগোল
ঢাক ঢাক গুড় গুড় = গোপন রাখার চেষ্টা
ঢাকের কাঠি = মোসাহেব, চাটুকার
ঢাকের বাঁয়া = অপ্রয়োজনীয়
ঢেঁকির কচকচি = বিরক্তিকর কথা
ঢি ঢি পড়া = কলঙ্ক প্রচার হওয়া
ঢিমে তেতালা = মন্থর
তালকানা = বেতাল হওয়া
তাসের ঘর = ক্ষণস্থায়ী
তামার বিষ = অর্থের কু প্রভাব
তালপাতার সেপাই = ক্ষীণজীবী
তিলকে তাল করা = বাড়িয়ে বলা
তুলসী বনের বাঘ = ভণ্ড
তুলা ধুনা করা = দুর্দশাগ্রস্ত করা
তুষের আগুন = দীর্ঘস্থায়ী ও দুঃসহ যন্ত্রণা
তীর্থের কাক = প্রতীক্ষারত
থ বনে যাওয়া = স্তম্ভিত হওয়া
থরহরি কম্প = ভীতির আতিশয্যে কাঁপা
দা-কুমড়া = ভীষণ শত্রুতা
দহরম মহরম = ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
দু মুখো সাপ = দু জনকে দু রকম কথা বলে পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টিকারী
দিনকে রাত করা = সত্যকে মিথ্যা করা
দুধে ভাতে থাকা = খেয়ে-পড়ে সুখে থাকা
দেঁতো হাসি = কৃত্তিম হাসি
দাদ নেওয়া = প্রতিশোধ নেয়া
দুকান কাটা = বেহায়া
দুধের মাছি = সু সময়ের বন্ধু
ধরাকে সরা জ্ঞান করা = সকলকে তুচ্ছ ভাবা
ধড়া-চূড়া = সাজপোশাক
ধরাকে সরা জ্ঞান করা = অহঙ্কারে সবকিছু তুচ্ছ মনে করা
ধর্মের ষাঁড় = যথেচ্ছাচারী
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে = সত্য গোপন থাকে না
ধরি মাছ না ছুঁই পানি = কৌশলে কার্যাদ্ধার
ননীর পুতুল = শ্রমবিমুখ
নয় ছয় = অপচয়
নাটের গুরু = মূল নায়ক
নাড়ি নক্ষত্র = সব তথ্য
নিমক হারাম = অকৃতজ্ঞ
নিমরাজি = প্রায় রাজি
নামকাটা সেপাই = কর্মচ্যূত ব্যক্তি
নথ নাড়া = গর্ব করা
নেই আঁকড়া = একগুঁয়ে
নগদ নারায়ণ = কাঁচা টাকা/নগদ অর্থ
নেপোয় মারে দই = ধূর্ত লোকের ফল প্রাপ্তি
পটল তোলা = মারা যাওয়া
পগার পার = আয়ত্তের বাইরে পালিয়ে যাওয়া
পটের বিবি = সুসজ্জিত
পত্রপাঠ = অবিলম্বে/সঙ্গে সঙ্গে
পালের গোদা = দলপতি
পাকা ধানে মই = অনিষ্ট করা
পাখিপড়া করা = বার বার শেখানো
পাততাড়ি গুটানো = জিনিসপত্র গোটানো
পাথরে পাঁচ কিল = সৌভাগ্য
পুঁটি মাছের প্রাণ = যা সহজে মরে যায়
পুকুর চুরি = বড় রকমের চুরি
পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটা = পুরোনো প্রসঙ্গে কটাক্ষ করা
পোঁ ধরা = অন্যকে দেখে একই কাজ করা
পোয়া বারো = অতিরিক্ত সৌভাগ্য
প্রমাদ গোণা = ভীত হওয়া
পায়াভারি = অহঙ্কার
পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা = অপরকে দিয়ে কাজ উদ্ধার
পরের ধনে পোদ্দারি = অন্যের অর্থের যথেচ্ছ ব্যয়
ফপর দালালি = অতিরিক্ত চালবাজি
ফুলবাবু = বিলাসী
ফেউ লাগা = আঠার মতো লেগে থাকা
ফুলের ঘাঁয়ে মূর্ছা যাওয়া = অল্পে কাতর
ফোড়ন দেওয়া = টিপ্পনী কাটা
বক ধার্মিক = ভণ্ড সাধু
বইয়ের পোকা = খুব পড়ুয়া
বগল বাজানো = আনন্দ প্রকাশ করা
বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো = সহজে খুলে যায় এমন
বসন্তের কোকিল = সুদিনের বন্ধু
বিড়াল তপস্বী = ভণ্ড সাধু
বর্ণচোরা আম = কপট ব্যক্তি
বরাক্ষরে = অলক্ষুণে
বাজারে কাটা = বিক্রি হওয়া
বালির বাঁধ = অস্থায়ী বস্তু
বাঁ হাতের ব্যাপার = ঘুষ গ্রহণ
বাঁধা গৎ = নির্দিষ্ট আচরণ
বাজখাঁই গলা = অত্যন্ত কর্কশ ও উঁচু গলা
বাড়া ভাতে ছাই = অনিষ্ট করা
বায়াত্তরে ধরা = বার্ধক্যের কারণে কাণ্ডজ্ঞানহীন
বিদ্যার জাহাজ = অতিশয় পণ্ডিত
বিশ বাঁও জলে = সাফল্যের অতীত
বিনা মেঘে বজ্রপাত = আকস্মিক বিপদ
বাঘের দুধ/ চোখ = দুঃসাধ্য বস্তু
বিসমিল্লায় গলদ = শুরুতেই ভুল
বুদ্ধির ঢেঁকি = নিরেট মূর্খ
ব্যাঙের আধুলি = সামান্য সম্পদ
ব্যাঙের সর্দি = অসম্ভব ঘটনা
ভরাডুবি = সর্বনাশ
ভস্মে ঘি ঢালা = নিষ্ফল কাজ
ভাদ্র মাসের তিল = প্রচণ্ড কিল
ভানুমতীর খেল = অবিশ্বাস্য ব্যাপার
ভাল্লুকের জ্বর = ক্ষণস্থায়ী জ্বর
ভাঁড়ে ভবানী = নিঃস্ব অবস্থা
ভূতের ব্যাগার = অযথা শ্রম
ভূঁই ফোড় = হঠাৎ গজিয়ে ওঠা
ভিজে বিড়াল = কপটাচারী
ভূশন্ডির কাক = দীর্ঘজীবী
মগের মুল্লুক = অরাজক দেশ
মণিকাঞ্চন যোগ = উপযুক্ত মিলন
মন না মতি = অস্থির মানব মন
মড়াকান্না = উচ্চকণ্ঠে শোক প্রকাশ
মাছের মায়ের পুত্রশোক = কপট বেদনাবোধ
মিছরির ছুরি = মুখে মধু অন্তরে বিষ
মুখ চুন হওয়া = লজ্জায় ম্লান হওয়া
মুখে দুধের গন্ধ = অতি কম বয়স
মুস্কিল আসান = নিষ্কৃতি
মেনি মুখো = লাজুক
মাকাল ফল = অন্তঃসারশূণ্য
মশা মারতে কামান দাগা = সামান্য কাজে বিরাট আয়োজন
মুখে ফুল চন্দন পড়া = শুভ সংবাদের জন্য ধন্যবাদ
মেছো হাটা = তুচ্ছ বিষয়ে মুখরিত
যক্ষের ধন = কৃপণের ধন
যমের অরুচি = যে সহজে মরে না
রত্নপ্রসবিনী = সুযোগ্য সন্তানের মা
রাঘব বোয়াল = সর্বগ্রাসী ক্ষমতাবান ব্যক্তি
রাবণের চিতা = চির অশান্তি
রাশভারি = গম্ভীর প্রকৃতির
রাই কুড়িয়ে বেল = ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে বৃহৎ
রাজা উজির মারা = আড়ম্বরপূর্ণ গালগল্প
রাবণের গুষ্টি = বড় পরিবার
রায় বাঘিনী = উগ্র স্বভাবের নারী
রাজ যোটক = উপযুক্ত মিলন
রাহুর দশা = দুঃসময়
রুই-কাতলা = পদস্থ বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি
লেফাফা দুরস্ত = বাইরের ঠাট বজার রেখে চলেন যিনি
লগন চাঁদ = ভাগ্যবান
ললাটের লিখন = অমোঘ ভাগ্য
লাল পানি = মদ
লাল বাতি জ্বালা = দেউলিয়া হওয়া
লাল হয়ে যাওয়া = ধনশালী হওয়া
লেজে গোবরে = বিশৃঙ্খলা
শকুনি মামা = কুটিল ব্যক্তি
শাঁখের করাত = দুই দিকেই বিপদ
শাপে বর = অনিষ্টে ইষ্ট লাভ
শিকায় ওঠা = স্থগিত
শিঙে ফোঁকা = মরা
শিবরাত্রির সলতে = একমাত্র সন্তান
শিরে সংক্রান্তি = বিপদ মাথার ওপর
শুয়ে শুয়ে লেজ নাড়া = আলস্যে সময় নষ্ট করা
শরতের শিশির = সুসময়ের বন্ধু
শত্রুর মুখে ছাই = কুদৃষ্টি এড়ানো
শ্রীঘর = কারাগার
ষাঁড়ের গোবর = অযোগ্য
ষোল আনা = পুরোপুরি
ঘোল কলা = পুরোপুরি
সবুরে মেওয়া ফলে = ধৈর্য ধরলে সুফল মিলে
সরফরাজি করা = অযোগ্য ব্যক্তির চালাকি
সাত খুন মাফ = অত্যধিক প্রশ্রয়
সাত সতের = নানা রকমের
সাপের ছুঁচো গেলা = অনিচ্ছায় বাধ্য হয়ে কাজ করা
সেয়ানে সেয়ানে = চালাকে চালাকে
সবে ধন নীলমণি = একমাত্র অবলম্বন
সাতেও নয়, পাঁচেও নয় = নির্লিপ্ত
সাপের পাঁচ পা দেখা = অহঙ্কারী হওয়া
সোনায় সোহাগা = উপযুক্ত মিলন
সাক্ষী গোপাল = নিষ্ক্রিয় দর্শক
সখাত সলিলে = ঘোর বিপদে পড়া
সব শেয়ালের এক রা = ঐকমত্য
হাটে হাঁড়ি ভাঙা = গোপন কথা প্রকাশ করা
হাতটান = চুরির অভ্যাস
হ য ব র ল = বিশৃঙ্খলা
হরি ঘোষের গোয়াল = বহু অপদার্থ ব্যক্তির সমাবেশ
হরিলুট = অপচয়
হস্তীমূর্খ = বুদ্ধিতে স্থূল
হাড়ে দুর্বা গজানো = অত্যন্ত অলস হওয়া
হাতুড়ে বদ্যি = আনাড়ি চিকিৎসক
হাতের পাঁচ = শেষ সম্বল
হীরার ধার = অতি তীক্ষ্ণবুদ্ধি
হোমরা চোমরা = গণ্যমান্য ব্যক্তি
হিতে বিপরীত = উল্টো ফল
হাড় হদ্দ = নাড়ি নক্ষত্র/সব তথ্য
হাড় হাভাতে = হতভাগ্য
হালে পানি পাওয়া = সুবিধা করা

Reference: ✬ বাংলা বাগধারা - উইকিঅভিধান

📗 Download as PDF


Made By Sbook99


Thank You for Reading.
Share:

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Popular

Labels Cloud

Recent Posts