➤ উত্তরঃ শব্দ হল অর্থপূর্ণ ধ্বনিসমষ্টি। শব্দের অর্থ-বৈচিত্র্যের জন্য নানাভাবে তার রূপ-রূপান্তর সাধন করা হয়। এভাবে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার জন্য শব্দ তৈরির প্রক্রিয়াই হলো শব্দ গঠন।
বিভিন্ন উপায়ে শব্দ গঠিত হয়।
শব্দ গঠনের উপায়গুলো হচ্ছে-
১. বর্ণের সঙ্গে বর্ণ যোগ করে।
যেমন- ক+ল= কল, ফ+ল= ফল, ক+ল+ম= কলম, ব+ই= বই, প+ড় =পড় ইত্যাদি।
২. ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে কার যোগ করে। যেমন- ম+া= মা, বা+বা= বাবা, চা+চা= চাচা ইত্যাদি।
৩. ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জনবর্ণের সংযোগ ঘটিয়ে বা ফলা যোগ করে। যেমন- ক্র+ম= ক্রম, ক+র+ম= কর্ম ইত্যাদি।
৪. শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যোগ করে। যেমন- কল+এর= কলের, কর+ছে= করছে, গাছ+এ= গাছে ইত্যাদি।
৫. সন্ধির সাহায্যে। যেমন- বিদ্যা+আলয়= বিদ্যালয়, আশা+অতীত= আশাতীত।
৬. উপসর্গ যোগ করে। যেমন- বি+কল= বিকল, সু+ফল= সুফল।
৭. প্রত্যয় যোগ করে। যেমন- √গম+অন= গমন, কলম+দানি= কলমদানি।
৮. পদ পরিবর্তন করে। যেমন- বাদল> বাদলা, ঈশ্বর> ঐশ্বরিক।
৯. সমাসের সাহায্যে। যেমন- মা ও বাবা= মা-বাবা,
১০. পদের দিরুক্তির সাহায্যে। যেমন- রাজায় রাজায়।
১১. ব্যবহৃত শব্দকে সংক্ষেপ করে। যেমন- টেলিভিশনের পরিবর্তে টিভি।
১২. সংখ্যা দ্বারা শব্দ গঠন। যেমন- ৬ - ছয়, ৯ - নয়, ১২ - বারো ইত্যাদি।
Made By Sbook99
Website: http://www.sbook99.tk/
Website: https://sbook99.blogspot.com
Website: https://sbook9.wordpress.com
Facebook Page: https://www.facebook.com/sbook99/
Thank You for Reading.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন